ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২

খাল রক্ষায় জনসম্পৃক্ততার আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার

বাংলাধারা রিপোর্ট:

 প্রকাশিত: মে ১২, ২০২৫, ০২:০৪ দুপুর  

ছবি: প্রতিনিধি

শুভাঢ্যা খাল খনন শুরু, সেনাবাহিনী বাস্তবায়ন করবে ৩১৭ কোটি টাকার প্রকল্প

ঢাকার চারপাশে জলাবদ্ধতা ও পরিবেশ দূষণ রোধে খাল রক্ষায় স্থানীয় জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। সোমবার (১২ মে) সকালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কালিগঞ্জ ও শ্মশানঘাট এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে শুভাঢ্যা খাল খনন প্রকল্পের সূচনার প্রাক্কালে তিনি এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, “আর কিছু পারি না পারি, আসুন খালগুলো গভীর করে দিই, ড্রেনগুলো পরিষ্কার রাখি। আশা করছি, এতে অন্তত জলাবদ্ধতা আগের চেয়ে কম হবে।”

সরেজমিন পরিদর্শনে এসে উপদেষ্টা বলেন, জনগণের টাকায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। তাই এ অর্থ যেন সঠিকভাবে ব্যয় হয় এবং অপচয় না ঘটে, তা নিশ্চিত করতেই সরকারের পক্ষ থেকে সরাসরি মাঠে পর্যবেক্ষণে এসেছি। খাল খননের পর যাতে এর সুফল টিকিয়ে রাখা যায়, সেজন্য স্থানীয় বাসিন্দাদেরই প্রধান ভূমিকা নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

শুভাঢ্যা খাল খনন প্রকল্পের আওতায় বুড়িগঙ্গা থেকে ধলেশ্বরী পর্যন্ত আনুমানিক ১৩ কিলোমিটার খাল পুনঃখনন করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩১৭ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরের মধ্যেই প্রকল্পটি একনেকে পাস হয়ে কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “আপনি সব খাল বিল ভরাট করে ঘরবাড়ি তুলবেন, ড্রেন পরিষ্কার করবেন না- তাহলে তো জলাবদ্ধতা হবেই। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় দায়িত্বশীলতা আমাদের সবার।”

তিনি আরও জানান, খালের পানিপ্রবাহের মুখগুলো দখল ও ময়লা-আবর্জনার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য শুধু সরকার নয়, সাধারণ মানুষকেও সচেতন হতে হবে। নির্মাণসামগ্রী যেমন বালু, ইট, সিমেন্ট ইত্যাদি খালে না ফেলার অনুরোধ করেন তিনি।

খাল খননের পর তার দুই পাশে বনায়ন ও সবুজায়নের পরিকল্পনার কথাও জানান উপদেষ্টা। বলেন, “প্রাকৃতিক নিয়মে পরিবেশ রক্ষায় খালের দুই পাশে বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। পাশাপাশি যেসব অবৈধ স্থাপনা খালের পাশে গড়ে উঠেছে, সেগুলো উচ্ছেদে ঢাকা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।”

বর্ষা মৌসুম সামনে রেখে রাজধানী ও আশেপাশের এলাকাগুলোতে জলাবদ্ধতা নিরসনে ইতোমধ্যে সিটি কর্পোরেশনগুলো ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ শুরু করেছে বলেও জানান তিনি। গার্মেন্টস শিল্পের মালিক ও শ্রমিকদেরও খালের রক্ষণাবেক্ষণে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান উপদেষ্টা।

পরিদর্শনকালে উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন তাঁর একান্ত সচিব আবু নঈম, তথ্য কর্মকর্তা দীপঙ্কর বর, সহকারী একান্ত সচিব আশিকুর রহমান সমী এবং ঢাকা জেলা প্রশাসন ও কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

 

বাংলাধারা/এসআর