নির্বাচনকে অবজ্ঞা করলে স্বৈরাচারই খুশি হয়: তারেক রহমান
প্রকাশিত: মে ০২, ২০২৫, ১১:০৮ রাত

ছবি: সংগৃহিত
নির্বাচন নিয়ে অবজ্ঞার মনোভাব স্বৈরাচারী শক্তির উত্থানকে উৎসাহিত করে- এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার মতে, এই ধরনের বক্তব্য এক ধরনের বিপজ্জনক প্রবণতা, যা নির্বাচনী রাজনীতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এবং পালিয়ে থাকা স্বৈরাচারীদেরই আনন্দ দেয়।
আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এই মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, “বিএনপি সব সময় জনগণের ভোটে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ এবং সরকার চায়। অথচ আজকাল এমনভাবে কথা বলা হচ্ছে যেন নির্বাচন দাবি করাটাই অপরাধ। এই পরিবেশ পলাতক স্বৈরাচারদেরই আনন্দ দেয়।”
তিনি আরও বলেন, “সংবিধান লঙ্ঘন করে তিনবার অবৈধ সরকার গঠন করা হয়েছে। এখন জনগণ জানতে চায়- এই বেআইনি শাসনের জন্য দায়ীদের রাজনীতি থেকে সরাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে?”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। দেশের সমকালীন রাজনৈতিক ধারার বিভিন্ন চিন্তাবিদ ও নেতারা এতে উপস্থিত ছিলেন। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী দিলারা চৌধুরীসহ আরও অনেকে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
বক্তারা বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে দেশে নতুন করে রাজনৈতিক উত্তাপ সৃষ্টি হয়েছে। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করা না গেলে গণতন্ত্র সুদূর পরাহত হবে।
এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ তার বক্তব্যে বলেন, “এই রাষ্ট্রে এখন গণতন্ত্রের অবস্থা শ্বাসরুদ্ধকর। জনতার প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হলে একটি অবাধ নির্বাচনের বিকল্প নেই।”
এর আগে, বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে শ্রমিক সমাবেশ করে বিএনপি।
তারেক রহমানের বক্তব্য ও সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ইঙ্গিত দেয়- নির্বাচন, ক্ষমতা ও গণতন্ত্র এখন আর শুধু নীতির প্রশ্ন নয়, বরং তা হয়ে উঠেছে অস্তিত্বের লড়াই।
বাংলাধারা/এসআর/এএস