শুক্রবার আত্মপ্রকাশ করছে নতুন ছাত্র রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম ‘আপ বাংলাদেশ’
প্রকাশিত: মে ০৫, ২০২৫, ০৩:৫২ দুপুর

ফাইল ছবি
বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে আসছে ‘ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ’ বা সংক্ষেপে ‘আপ বাংলাদেশ’। আগামী শুক্রবার (৯ মে) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দলটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে। সেদিনই গঠিত হবে আহ্বায়ক কমিটি।
দলটির প্রধান উদ্যোক্তা ও সাবেক জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ জানান, এই নতুন প্ল্যাটফর্ম গঠনের মাধ্যমে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান’-এর শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের স্বীকৃতি এবং দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে আমূল পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে কাজ শুরু করবে ‘আপ বাংলাদেশ’।
তিনি বলেন, “৯ মে আমরা শহীদ মিনারে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করবো। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন জুলাই আন্দোলনের শহীদ পরিবার, আহত যোদ্ধারা এবং বিভিন্ন পর্যায়ের সংগঠক ও সহযোদ্ধারা।”
উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসে ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম গঠনের ইঙ্গিত দেন জুনায়েদ। এরপর ১০ এপ্রিল ‘ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ)’ নামটি ঘোষণা করে এই উদ্যোগের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
আলী আহসান জুনায়েদ জানিয়েছেন, আপ বাংলাদেশ গঠনের পেছনে মূল প্রেরণা হলো ‘জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা’। এর মাধ্যমে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে:
- পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরের সহিংসতা ও জুলাই গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করা
- ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি
- জুলাইয়ের আহত যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের অর্থনৈতিক পুনর্বাসন
- নৈতিক নেতৃত্ব, সামাজিক সুবিচার ও মানবিক মর্যাদার ভিত্তিতে রাষ্ট্র পুনর্গঠন
- ধর্মীয় মূল্যবোধে শ্রদ্ধাশীল একটি সামাজিক চুক্তি রূপায়ণ
জুনায়েদ আরও বলেন, “রাজনীতিতে পেশিশক্তির দাপট, দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নের যে চক্র, আমরা তা ভাঙতে চাই। আমাদের প্রস্তাবনায় থাকবে বাংলাদেশের চারটি প্রধান সংকট থেকে মুক্তির অঙ্গীকার: ফ্যাসিবাদ, আধিপত্যবাদ, ধর্মবিদ্বেষ ও দুর্নীতি।”
আপ বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য হিসেবে থাকবে অর্থনৈতিক মুক্তি, সমতা ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, যাতে সমাজের প্রতিটি মানুষ মর্যাদার সঙ্গে বাঁচতে পারে। পাশাপাশি, শিক্ষিত, নৈতিক ও উদার নেতৃত্ব বিকাশের জন্য এই প্ল্যাটফর্ম কাজ করে যাবে।
অনুষ্ঠানটি ঘিরে ইতিমধ্যেই ছাত্র-জনতার মধ্যে আলোচনার জন্ম দিয়েছে নতুন এই রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম। অনেকেই একে "জুলাই গণ-আন্দোলনের রাজনৈতিক উত্তরাধিকার" হিসেবে দেখছেন।
বাংলাধারা/এসআর