ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে প্রাণহানি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
প্রকাশিত: মে ০৭, ২০২৫, ০৩:১৫ দুপুর

ছবি: সংগৃহিত
কাশ্মীর ইস্যুকে ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে দুই প্রতিবেশী পারমাণবিক শক্তিধর দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। এই উত্তেজনার মধ্যে মঙ্গলবার (স্থানীয় সময়) গভীর রাতে পাকিস্তানের কয়েকটি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। পাকিস্তান দাবি করেছে, এ হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত এবং ৪৫ জন আহত হয়েছেন। পাল্টা জবাবে ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার কথা জানিয়েছে ইসলামাবাদ।
এই অস্থির পরিস্থিতিতে দুই দেশের সীমান্তবর্তী ও কেন্দ্রীয় বেশ কিছু অঞ্চলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ এবং গুরুত্বপূর্ণ পাঞ্জাব প্রদেশে সব স্কুল ও কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের প্রতিরক্ষার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি জোরদার করা হয়েছে।
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জম্মু, সাম্বা, কাঠুয়া, রাজৌরি ও পুঞ্চ এলাকায়ও মঙ্গলবার সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। সীমান্ত এলাকায় গোলাগুলির ঝুঁকি থাকায় সাধারণ মানুষকে ঘরে অবস্থান করতে বলা হয়েছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পাকিস্তান ভারত শাসিত কাশ্মীরের ভিম্বার গলি এলাকায় গোলাবর্ষণ করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তারা বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনেছেন এবং কয়েকটি স্থানে ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখেছেন।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, তারা ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে একটি সামরিক অভিযান শুরু করেছে, যার লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটি নয়, বরং সীমান্ত অঞ্চলে বিদ্রোহীদের অবস্থান। অন্যদিকে পাকিস্তান দাবি করেছে, ভারতের এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তাদের বেসামরিক স্থাপনাই লক্ষ্যবস্তু ছিল।
গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে একদল অজ্ঞাত বন্দুকধারী পর্যটকদের ওপর হামলা চালায়। ঘটনায় ২৬ জন নিহত হয়। সেই ঘটনার পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে ওঠে, যার ধারাবাহিকতায় দুই পক্ষই এবার সরাসরি সামরিক সংঘাতে জড়াল।
দুই দেশের এই উত্তেজনাকর অবস্থায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ বেড়েছে। জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং দেশ ইতোমধ্যে উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। কূটনৈতিকভাবে উত্তেজনা নিরসনে উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন পর্যবেক্ষকরা।
বাংলাধারা/এসআর