ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত:

ট্রাম্পের আহ্বান- “সংঘাত বন্ধ হোক, আমি পাশে আছি”

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

 প্রকাশিত: মে ০৮, ২০২৫, ১০:১০ দুপুর  

ফাইল ছবি

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে ভারতের সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনায়। পাকিস্তানের দাবি, বুধবার গভীর রাতে আজাদ কাশ্মিরসহ মোট নয়টি স্থানে চালানো ওই হামলায় অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছেন। পাল্টা জবাব দিতে সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে ইসলামাবাদ।

এই টানটান পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষকে সংযত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, “আমি দুই দেশকেই ভালোভাবে চিনি। আমি চাই তারা নিজেদের মধ্যে বিষয়গুলো মিটিয়ে নিক। আমি চাই তারা এই সংঘাত বন্ধ করুক।” তিনি আরও যোগ করেন, আমি যদি কোনোভাবে সাহায্য করতে পারি, তাহলে অবশ্যই পাশে থাকব।”

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ট্রাম্পের এই মন্তব্য ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নিয়ে তার প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া নয়। এর আগেও তিনি দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের সংঘর্ষকে "গভীর উদ্বেগের" বিষয় বলে মন্তব্য করেছিলেন।

পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারত যে হামলা চালিয়েছে তার “মূল্য চোকাতে হবে”। এরইমধ্যে ইসলামাবাদ পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনীকে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, কাশ্মির ইস্যুতে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে লুকানো উত্তাপ বহু পুরনো। তবে সাম্প্রতিক এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা দুই দেশের মধ্যে সরাসরি সামরিক সংঘাতে রূপ নিতে পারে, যা পুরো দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভারতের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে দেশের একাধিক গণমাধ্যম ইঙ্গিত দিচ্ছে, এটি ছিল ‘জঙ্গিবাদবিরোধী’ একটি সামরিক অভিযান।

ভারত ও পাকিস্তান- দুই দেশই পরমাণু অস্ত্রধারী। ফলে এই ধরনের সংঘর্ষ শুধু এই দুই দেশ নয়, পুরো অঞ্চলকেই ঝুঁকিতে ফেলে দিতে পারে। আন্তর্জাতিক মহল তাই দ্রুত সংলাপ ও কূটনৈতিক সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এমন এক সময় এই সংঘাত শুরু হলো যখন বিশ্বজুড়ে অস্থিরতা চলছে। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের মতো প্রভাবশালী রাষ্ট্রের সক্রিয় ভূমিকা দ্বিপাক্ষিক উত্তেজনা প্রশমনে সহায়ক হতে পারে।

 

বাংলাধারা/এসআর