ডিসেম্বরের পরে নির্বাচনের কোনো যুক্তি নেই: সালাহউদ্দিন আহমদ
প্রকাশিত: জুন ০২, ২০২৫, ১১:৩২ রাত

ছবি: সংগৃহিত
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন কোনোভাবেই ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার কারণ নেই। তার মতে, এমন কোনো সংস্কার নেই যা এক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
সোমবার বিকেলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। ওইদিন বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে সংস্কার ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হয়।
বৈঠক শেষে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “আমরা মনে করি, ডিসেম্বরের ভেতরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব। যেসব জরুরি সংস্কার দরকার, বিশেষ করে নির্বাচনমুখী, সেগুলো চিহ্নিত করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে এক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন সম্ভব। এমন কোনো সংস্কার নেই যা এক মাসে করা যাবে না।”
তিনি বলেন, সংবিধান সংশোধন ছাড়া অন্যান্য যেসব সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতৈক্য রয়েছে, সেগুলো নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে দ্রুত বাস্তবায়ন সম্ভব। তাই নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার মতো কোনো যৌক্তিক কারণ নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, “আমরা আজকে দেখেছি অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা সেটি বিবেচনায় নেবেন বলেই আমরা আশা করি। তিনি জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে নিরপেক্ষভাবে সে ভূমিকা পালন করবেন— এটাই প্রত্যাশা।”
সংস্কার নিয়ে আলাপ-আলোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, “দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় কিছু কিছু জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে একমত হওয়ার ব্যাপারে উদ্যোগ দেখা গেছে। গণতন্ত্রে সব বিষয়ে একমত হওয়া সম্ভব নয়। তবে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কোথাও আমরা একমত হতে পারব, কোথাও কাছাকাছি আসতে পারব। এভাবেই জাতীয় ঐকমত্য গড়ে উঠবে।”
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ ও আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস। এছাড়া জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা আলোচনায় অংশ নেন।
বৈঠকে মোট ৩০টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
বাংলাধারা/এসআর