বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনের অভিযোগ
হাসিনাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে গুম ও অপহরণের অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে
প্রকাশিত: জুন ০৩, ২০২৫, ০৬:৫২ বিকাল

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে গুম ও অপহরণের অভিযোগ দাখিল করেছেন। মঙ্গলবার (৩ জুন) সকাল ১১টার দিকে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন তিনি।
অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন:
? বসাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
? সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল
? সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ
? পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম
? সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান
? সাবেক ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া
? একে এম শহীদুল হক
অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট আমলে যারা গুম, খুন, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন - তাদের ন্যায়বিচারের জন্য আমরা আজকে এই পদক্ষেপ নিয়েছি। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যেন এই ধরনের সব অভিযোগ বিচারযোগ্য হয়, সেই লক্ষ্যে সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, এই জাতির আকাঙ্ক্ষা ন্যায়বিচার। শুধু জুলাই-আগস্ট নয়, বিগত ফ্যাসিস্ট শাসনামলে যারা গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন, তাদের প্রত্যেকের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আমরা সেই প্রতিশ্রুতির পথেই এগিয়ে যাচ্ছি।
সালাহউদ্দিন আহমেদ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, এই ট্রাইব্যুনাল যাতে সঠিক বিচার নিশ্চিত করতে পারে, সে জন্য সরকারকে লজিস্টিক সহায়তা বাড়াতে হবে। এটি শুধু একটি রাজনৈতিক দায়িত্ব নয়, এটি একটি মানবিক কর্তব্য।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে নিখোঁজ হন সালাহউদ্দিন আহমেদ। দীর্ঘ ৬২ দিন পর, একই বছরের ১১ মে তাকে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে উদ্ধার করে সেখানকার পুলিশ। এরপর দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর, ১১ আগস্ট তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেন।
এর আগেও, ২০২৪ সালের ১৫ অক্টোবর, ‘গুম কমিশনে’ নিজের গুম হওয়ার লিখিত অভিযোগ জমা দেন তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমেদের আহ্বান, যারা অতীতে গুম, খুন, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বা তাঁদের পরিবার— সবাই যেন সাহস করে এই ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেন, যেন ইতিহাসে বিচারহীনতার কালো অধ্যায় আর না থাকে।
বাংলাধারা/এসআর