ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২

নিবন্ধন ফিরে পেতে দ্রুত শুনানির আবেদন জামায়াতের

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: মে ০৪, ২০২৫, ১২:২১ দুপুর  

ছবি: সংগৃহিত

রাজনৈতিক দল হিসেবে বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে দায়ের করা আপিলের দ্রুত শুনানির আবেদন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি। রোববার (৪ মে) সকালে দলটির পক্ষে আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে এ আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, জামায়াতের নিবন্ধন প্রশ্নে শুরু হওয়া আপিল শুনানি অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে স্থগিত হয়ে যায়। অথচ দলটির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এই মামলার নিষ্পত্তির ওপর নির্ভর করছে। এমন প্রেক্ষাপটে শুনানি দ্রুত শেষ করা প্রয়োজন।

শুনানির পর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ জানায়, বিষয়টি মঙ্গলবার অথবা বুধবার আদালতে উঠতে পারে।

এর আগে, চলতি বছরের ১২ মার্চ জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল সংক্রান্ত মামলার আপিল শুনানি শুরু হয়। তবে ২০২৩ সালের নভেম্বরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলে জামায়াতের প্রধান আইনজীবী অনুপস্থিত থাকায়, আপিল বিভাগ তা ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ হিসেবে খারিজ করে দেন। ফলে হাইকোর্টের ২০১৩ সালের রায়ই বহাল থাকে এবং নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ২০১৮ সালের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলই কার্যকর থাকে।

তবে গত বছরের ২২ অক্টোবর এই খারিজ হওয়া আপিল পুনরুজ্জীবিত করে দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চ জামায়াতের আইনি লড়াইয়ের পথ পুনরায় খুলে দেন। এতে দলটি তাদের পুরোনো প্রতীক দাঁড়িপাল্লা ও রাজনৈতিক পরিচিতি ফিরিয়ে পাওয়ার আশায় আপিল চালিয়ে যেতে পারে।

আদালতে জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী এবং অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। অপরদিকে রিটকারীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড আলী আজম।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১ আগস্ট একটি রিট মামলার রায়ে হাইকোর্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করেন। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।

এদিকে, ২০২৪ সালের ১ আগস্ট দেশে চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় জামায়াতে ইসলামি ও তাদের ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকার। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮(১) ধারা অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সংগঠন দুটির রাজনৈতিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তবে ওই সিদ্ধান্ত দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। একই বছরের ২৮ আগস্ট সরকার পূর্বঘোষিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয় এবং নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান সময়ে জামায়াতের নিবন্ধন ইস্যুটি শুধু একটি দলের রাজনৈতিক অধিকার নয়, বরং দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থাপনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে উঠেছে।

আপনি কি চান, এই রিপোর্টের জন্য একটি ছোট সোশ্যাল মিডিয়া হেডলাইন বা ক্যাপশনও তৈরি করে দিই?


বাংলাধারা/এসআর