ভারতের বিমান হামলায় পাকিস্তানে নিহত ৮, আহত ৩৩
প্রকাশিত: মে ০৭, ২০২৫, ০৯:১৯ সকাল

ছবি: সংগৃহিত
পাকিস্তানে বেসামরিক স্থাপনায় ভারতের সামরিক আগ্রাসনে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৮ জন নিরীহ নাগরিক, আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩৩ জন। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার (৭ মে) ভোরে অনুষ্ঠিত ওই ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “মঙ্গলবার গভীর রাতে ভারত ছয়টি ভিন্ন স্থানে মোট ২৪টি বিমান হামলা চালিয়েছে। এই হামলা সম্পূর্ণ অকারণ, কাপুরুষোচিত এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন।”
জেনারেল চৌধুরী জানান, শুধুমাত্র আহমদপুর ইস্ট এলাকাতেই পাঁচজন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে একজন কন্যাশিশুও রয়েছে। এই হামলার শিকার হয়েছেন সাধারণ ঘরের মানুষ, যারা যুদ্ধ-রাজনীতির সাথে যুক্ত নন।
মুজাফফরাবাদে বিলাল মসজিদে হামলায় এক শিশু আহত হয়েছে। মসজিদের স্থাপনায়ও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কোটলির আব্বাস মসজিদ ও মুরিদকের একটি মসজিদেও বিমান হামলা চালানো হয়েছে। মুরিদকের হামলায় একজন নিহত এবং অপর একজন আহত হয়েছেন।
সিয়ালকোটের কাছে কোটলি লোহারান গ্রামে ভারতীয় বাহিনীর নিক্ষিপ্ত কামানের গোলা বিস্ফোরিত হয় একটি আবাসিক এলাকায়। এছাড়া শাকগড় অঞ্চলে একটি ওষুধ বিতরণ কেন্দ্রও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা যুদ্ধবিরোধী আইন অনুযায়ী স্পষ্টতই মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তারা “দৃঢ় ও যথাযথ প্রতিক্রিয়া” জানাচ্ছে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ বলেন, “আমরা দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেনাবাহিনীর পাল্টা জবাব ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমকর্মীদের ঘটনাস্থলগুলোতে নিয়ে যাওয়া হবে, যাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ভারতের নগ্ন আগ্রাসন সরাসরি দেখতে পারে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে এবং বেসামরিক লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা আশঙ্কা করছেন, এই পরিস্থিতি যদি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে না আসে, তবে পুরো অঞ্চলই সহিংসতার ঝুঁকিতে পড়বে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হামলা কেবল সামরিক নয়, বরং মানবিক ও ধর্মীয় অধিকারের ওপরও আঘাত হেনেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত, দ্রুত হস্তক্ষেপ করে এই সংকট নিরসনে মধ্যস্থতা করা।
বাংলাধারা/এসআর