ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে অগ্রগতি, ১৭ হাজার কর্মীর জন্য খুলছে সম্ভাবনার দুয়ার: আসিফ নজরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: মে ১৫, ২০২৫, ০৭:৪৪ বিকাল  

ফাইল ছবি

মালয়েশিয়ায় কর্মসংস্থানের নতুন সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। দেশটির গুরুত্বপূর্ণ তিন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি জানিয়েছেন, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে এসেছে আশার আলো।

গত বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাশুসন ইসমাইল, মানবসম্পদমন্ত্রী স্টিভেন সিম চি কেও এবং ট্রেড মন্ত্রীর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয় বলে জানিয়েছেন ড. আসিফ।

বৈঠকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে তিনি জানান, মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা ১৭ হাজার কর্মীর মধ্যে প্রথম ধাপে ৭ হাজার ৯২৬ জনের তালিকা চূড়ান্ত করেছে দেশটি। খুব শিগগিরই তারা মালয়েশিয়ায় গিয়ে কাজে যোগ দেওয়ার সুযোগ পাবেন।

মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বলেও জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, "আমরা তাদের অনুরোধ করেছি, বাংলাদেশ থেকে যেন সব রিক্রুটিং এজেন্সি সমানভাবে লোক পাঠাতে পারে। তারা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন এবং শিগগিরই আমাদের জানাবেন।"

তিনি আরও জানান, বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আগামী কয়েক মাসে মালয়েশিয়া এক থেকে দেড় লাখ নতুন বিদেশি কর্মী নিয়োগ দিতে পারে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ।

বৈঠকে বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসার সুযোগ তৈরির দাবি জানান ড. আসিফ। তিনি বলেন, "এখন পর্যন্ত আমাদের কর্মীরা একবার মালয়েশিয়া যাওয়ার সুযোগ পান, পরে আবার আসা-যাওয়ার সুযোগ থাকে না। আমরা চাই তারা যেন মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা পান। মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব পাওয়া গেছে।"

অবৈধভাবে অবস্থান করা শ্রমিকদের বৈধতা দেওয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। তবে যাদের ভিসার মেয়াদ একেবারে শেষ হয়ে গেছে, তাদের বৈধতার সুযোগ আপাতত সীমিত বলেও জানান তিনি।

কেবল নির্মাণ কিংবা কৃষি খাত নয়, মালয়েশিয়া এবার সিকিউরিটি গার্ড, কেয়ারগিভার, নার্স এবং দক্ষ কর্মী নিয়োগের ব্যাপারেও আগ্রহ দেখিয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা। এ বিষয়ে আরও বিস্তৃত আলোচনার জন্য দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে।

ভিডিও বার্তায় ড. আসিফ বলেন, "প্রধান উপদেষ্টার দিকনির্দেশনা এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্কের কারণে আমরা কাজগুলো এগিয়ে নিতে পারছি। আমরা আশাবাদী, এই আলোচনা বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করবে।"

প্রবাসী কর্মসংস্থানের নতুন সম্ভাবনা, শ্রমবাজারে অগ্রগতি এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরনের কার্যকর উদ্যোগ প্রশংসিত হচ্ছে।

বাংলাধারা/এসআর