বাংলাদেশকে ১৩ হাজার কোটি টাকার বাজেট সহায়তা দিচ্ছে জাপান
প্রকাশিত: মে ৩০, ২০২৫, ১২:৩৮ দুপুর

ফাইল ছবি
রেল খাত, অর্থনৈতিক সংস্কার, জলবায়ু ও শিক্ষায় আসছে এই অর্থায়ন
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় বড় ধরনের সহায়তা দিচ্ছে জাপান। দেশটি বাংলাদেশকে প্রায় ১ দশমিক ০৬৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট সহায়তা দেবে, যা আজকের বিনিময় হার অনুযায়ী ১২ হাজার ৯৫৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। মূলত রেলপথ উন্নয়ন, শিক্ষাবৃত্তি, অর্থনৈতিক সংস্কার এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার জন্যই এই সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
শুক্রবার (৩০ মে) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।
সহায়তার খাতভিত্তিক বিবরণ:
- রেল খাত:
সর্বোচ্চ বরাদ্দটি যাচ্ছে দেশের রেল অবকাঠামোতে। ৬৪১ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ৭ হাজার ৮৩৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত রেলপথকে ডাবল গেজ ডাবল লাইনে রূপান্তরের কাজ বাস্তবায়িত হবে। - অর্থনৈতিক সংস্কার ও জলবায়ু:
৪১৮ মিলিয়ন ডলার বা ৫ হাজার ১১০ কোটি টাকার সহায়তা দেওয়া হবে দেশের অর্থনৈতিক খাতের কাঠামোগত সংস্কার ও জলবায়ু সংক্রান্ত উদ্যোগ বাস্তবায়নে। এই অর্থ ঋণ আকারে প্রদান করবে জাপান। - শিক্ষাবৃত্তি:
শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় সহায়তা করতে ৪ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ৫১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা অনুদান হিসেবে দেওয়া হবে।
এদিন টোকিওতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে একাধিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। বৈঠকে উভয়পক্ষ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিয়ে আলোচনা করেন।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের গঠনমূলক সংস্কার কর্মসূচি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীন শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রস্তুতি এবং জাতি গঠনে গৃহীত পদক্ষেপসমূহের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন।
বৈঠক শেষে ড. ইউনূস জাপান সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সার্বিক উন্নয়নে জাপানের সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা আমাদের সংস্কার ও উন্নয়ন প্রচেষ্টায় নবউদ্যম সঞ্চার করবে।”
জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে ড. ইউনূসকে দেওয়া হয় গার্ড অব অনার- যা দুই দেশের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বাংলাধারা/এসআর