ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২

ঘোষিত সময়সীমার মধ্যেই নির্বাচন চায় জামায়াত: শফিকুর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: জুন ০৩, ২০২৫, ০২:৪৪ দুপুর  

ছবি: সংগৃহিত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা যে সময়সীমা নির্ধারণ করেছেন, তার মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত। তিনি বলেন, “নির্বাচন যদি হয়, সেটি ডিসেম্বর ২৫ থেকে জুন ২৬-এর মধ্যে হওয়া উচিত। তবে ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ভোট গ্রহণ হলে সবচেয়ে ভালো হয়।”

মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর বনানী শেরাটন হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। সেখানে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নিয়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে জামায়াত আমির বলেন, “আমরা মনে করি, নির্বাচন ফেব্রুয়ারির মধ্যেই হওয়া উচিত, রোজার আগেই। তবে যদি কোনো কারণে কিছু শর্ত পূরণে সময় লেগে যায়, তাহলে এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন শেষ করাটা হবে যথাযথ। কারণ মে মাস থেকে দেশের আবহাওয়া ক্রমেই প্রতিকূল হয়ে ওঠে, যা নির্বাচনের জন্য সুবিধাজনক নয়।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা কেবল আমাদের মতামত দিতে পারি, সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার সরকারের। সময় নির্ধারণ করে আমরা কিছু বলতে চাই না, তবে জনগণের স্বার্থে নির্বাচন যেন সঠিক সময়ে হয়, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।”

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব কি না- এমন প্রশ্নে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “এখনই আমরা আশা বা নিরাশার কিছু বলতে চাচ্ছি না। আমরা নির্বাচন কমিশনের পারফরম্যান্স পর্যবেক্ষণ করছি। তাদের ওপর কতটা আস্থা রাখা যায়, তা সময়ই বলে দেবে।”

দলের নিবন্ধন বাতিলের ঘটনায় যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না- এ বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমাদের অধিকার যারা কেড়ে নিয়েছে, তাদের নিয়ে এখনো আমরা বিশেষ কিছু ভাবিনি। তবে ভবিষ্যতে এ বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করব।”

জামায়াত আমির বলেন, “জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যারা দেশে পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখেছিল, তারা চেয়েছিল ফ্যাসিজমের অবসান। কিন্তু আজও আমরা তা থেকে মুক্ত নই। ফ্যাসিস্ট সরকার বিদায় নিয়েছে, কিন্তু ফ্যাসিজমের কালো ছায়া জাতির কাঁধে রয়ে গেছে।”

সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতারা ছাড়াও বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাধারা/এসআর