মার্কিন হামলার পর বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম, সামনে আরও ঊর্ধ্বগতির শঙ্কা
প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২৫, ১০:২৪ দুপুর

ছবি: সংগৃহিত
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইরানে চালানো সাম্প্রতিক বিমান হামলার প্রভাবে বিশ্ববাজারে তেলের দাম দ্রুত ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। বাজার খোলার পরপরই লন্ডনের ব্রেন্ট ও যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (WTI) তেলের দর এক লাফে ৪ শতাংশের বেশি বেড়ে যায়। জানুয়ারির পর এটাই দুই চুক্তির সর্বোচ্চ মূল্য।
আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, পরে দামের কিছুটা সংশোধন হলেও সোমবার (বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৬টা) পর্যন্ত ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ছিল ব্যারেলপ্রতি ৭৯ দশমিক ২০ ডলার- যা আগের দিনের তুলনায় ২ দশমিক ২ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে, ডব্লিউটিআই-এর দাম দাঁড়ায় ৭৫ দশমিক ৯৮ ডলারে, যা ২ দশমিক ১ শতাংশ বেশি।
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠান জাপানের এমইউএফজি ব্যাংকের অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করে বলেছেন- মার্কিন-ইরান উত্তেজনা আরও দীর্ঘায়িত হলে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি আরও ১০ ডলার পর্যন্ত বাড়তে পারে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজারে এই অস্থিরতা মূলত রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা থেকেই তৈরি হয়েছে। ইরান বিশ্বের নবম বৃহত্তম তেল উৎপাদক দেশ। দৈনিক উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ৩৩ লাখ ব্যারেল, যার অর্ধেক রফতানি হয়। সরবরাহ ব্যবস্থায় কোনো ধরনের বিঘ্ন তৈরি হলে তা বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারে বড় ধরনের ধাক্কা দিতে পারে।
বিশ্বজুড়ে জ্বালানি মূল্য ইতোমধ্যেই উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। এর মধ্যে নতুন করে যুদ্ধাবস্থার সৃষ্টি হলে তা কেবল দাম বাড়ানোই নয়, বিশ্ব অর্থনীতির পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াকেও বাধাগ্রস্ত করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বাজার বিশ্লেষকেরা।
বিশ্বের রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিশেষত মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা, যে কীভাবে বৈশ্বিক অর্থনীতিকে নাড়িয়ে দিতে পারে- এই ঘটনা তার সাম্প্রতিক উদাহরণ। এখন প্রশ্ন একটাই: ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের এই সংঘাত কতদূর গড়াবে? তথ্যসূত্র: আলজাজিরা, এএফপি
বাংলাধারা/এসআর