লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এয়ারবাস ও মেনজিস এভিয়েশনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বৈঠক
প্রকাশিত: জুন ১০, ২০২৫, ০৯:১৪ রাত

ছবি: পিআইডি
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এয়ারবাসের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াউটার ভ্যান ওয়ার্শ। মঙ্গলবার (১০ জুন) লন্ডনের এক অভিজাত হোটেলে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করেছে।
একই দিনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মেনজিস এভিয়েশনের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট চার্লস ওয়াইলিও। বিমান শিল্পে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সহযোগিতার নতুন সম্ভাবনা এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতির ওপর আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে, সোমবার (৯ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীরা ঢাকা ছাড়েন। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টার দিকে তারা লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।
উল্লেখ্য, প্রধান উপদেষ্টার এ সফরটি একাধিক কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গত ৪ জুন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিক এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, সফরকালে প্রধান উপদেষ্টা ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়াও তাঁর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন নবনির্বাচিত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার।
সফরসূচি অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি, অন্যান্য মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতা ও ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের প্রভাবশালী ব্যক্তিরাও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। এই বৈঠকগুলোতে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে যুক্তরাজ্যের সমর্থনের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে। পাশাপাশি পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরত আনার বিষয়টিও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে।
বিশ্বব্যাপী শান্তি, সম্প্রীতি ও পরিবেশের টেকসই উন্নয়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘কিং চার্লস তৃতীয় হারমনি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’-এর জন্য মনোনীত করা হয়েছে। আগামী ১২ জুন লন্ডনের ঐতিহাসিক সেন্ট জেমস প্যালেসে এক জমকালো অনুষ্ঠানে রাজা চার্লস তৃতীয় নিজে এই পুরস্কার প্রদান করবেন।
‘দ্য কিংস ফাউন্ডেশন’ কর্তৃক প্রদত্ত এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারটি প্রতি বছর সেইসব ব্যক্তিদের সম্মাননা দেয়, যারা মানবতা, পরিবেশ ও সমাজে টেকসই পরিবর্তনে অনন্য ভূমিকা রাখেন। ১৯৯০ সালে তৎকালীন প্রিন্স অব ওয়েলস (বর্তমান রাজা) এই ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রধান উপদেষ্টার এবারের সফর আগামী ১৪ জুন শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
বাংলাধারা/এসআর