ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ঢাবি ভিসি ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে ছাত্রদলের অবস্থান কর্মসূচি

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: মে ১৫, ২০২৫, ০১:১৭ দুপুর  

ছবি: সংগৃহিত

সাম্য হত্যার প্রতিবাদে ছাত্রদলের কালো ব্যাজ ধারণ, উত্তাল উপাচার্যের বাসভবন এলাকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ, এবং ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচার দাবিতে কালো ব্যাজ ধারণ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এই কর্মসূচি শুরু হয়। কর্মসূচিতে ঢাবি শাখা ছাত্রদলের পাশাপাশি ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজ, তিতুমীর কলেজ, সরকারি বাংলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ এবং ঢাকা মহানগর ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, ঢাবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপনসহ সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের অসংখ্য নেতাকর্মী।

মঙ্গলবার (১৩ মে) রাত ১২টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য। পরে রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন।

ঘটনার পর থেকেই ছাত্রদল এ হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার, প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার এবং প্রশাসনের ব্যর্থতার দায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করে আসছে।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টা ২০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বরেই এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির আন্দোলনের ঘোষণা দেন। তার কিছুক্ষণ পরই সংগঠনের পক্ষ থেকে দেশজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচির আহ্বান জানানো হয়।

ছাত্রদল নেতারা অভিযোগ করছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গাফিলতিতেই সাম্যের মতো একজন সক্রিয় ছাত্রনেতাকে প্রাণ দিতে হয়েছে। তারা দাবি করেন, ঘটনার পরও প্রশাসন তৎপর হয়নি, বরং হত্যাকাণ্ডকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।

নেতাকর্মীদের মতে, “একজন ছাত্রের খুনের পর যদি প্রশাসন নীরব থাকে, তবে সেটি শুধু দায়িত্বহীনতা নয়, বরং অপরাধের অংশীদারিত্ব।” এমন পরিস্থিতিতে উপাচার্য ও প্রক্টরের পদে থাকা অনৈতিক বলেও মনে করেন তারা।

সাম্যের মৃত্যু ও ছাত্রদলের লাগাতার আন্দোলনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ওপর চাপ বাড়ছে। তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো পদত্যাগ বা উচ্চপর্যায়ের তদন্তের ঘোষণা দেওয়া হয়নি।

ছাত্রদল বলছে, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি চলবে এবং প্রয়োজনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের দিকে অগ্রসর হবে সংগঠনটি।

বাংলাধারা/এসআর