ঢাকা, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২

চবির পঞ্চম সমাবর্তনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ডি.লিট ডিগ্রি প্রদান

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: মে ১৪, ২০২৫, ০৪:৩২ দুপুর  

ছবি: সংগৃহিত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তনে বিশেষ সম্মাননা হিসেবে ডক্টর অব লেটারস (ডি.লিট) ডিগ্রি পেয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (১৪ মে) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত জমকালো সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তাঁকে এই ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতারের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ। এছাড়া উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

এবারের সমাবর্তনে অংশ নিয়েছেন ২০১১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষদের সর্বমোট ২২ হাজার ৫৮৬ জন গ্র্যাজুয়েট। এর মধ্যে রয়েছেন ৪২ জন পিএইচডি ও ৩৩ জন এমফিল ডিগ্রিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী। বাকি শিক্ষার্থীরা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি গ্রহণ করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসজুড়ে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। সকাল থেকেই নির্ধারিত বাসে করে ক্যাম্পাসে আসতে থাকেন সাবেক শিক্ষার্থীরা। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অনেকেই ক্যামেরাবন্দি করেন জীবনের এক স্মরণীয় দিন। সমাবর্তনের মূল অনুষ্ঠানে বসার জন্য প্রস্তুত করা হয় প্রায় ২৫ হাজার মানুষের আসন।

স্মৃতিচারণ ও গর্বের আবহে অনেকেই ফিরে যান বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সেই শুরুর দিনে। অনেকের চোখে ছিল আনন্দাশ্রু, অনেকের মুখে ক্যারিয়ারের স্বপ্ন।

বিশেষ এই দিনে সম্মাননা প্রাপ্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর বক্তব্যে বলেন, এই ডিগ্রি শুধু ব্যক্তিগত নয়, এটি বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের প্রতি আমার অগাধ বিশ্বাস ও ভালোবাসার প্রতীক। শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠার প্রায় তিন দশক পর ১৯৯৪ সালে প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ১৯৯৯ সালে দ্বিতীয়, ২০০৮ সালে তৃতীয় এবং সর্বশেষ ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি চতুর্থ সমাবর্তন হয়। এবারের পঞ্চম সমাবর্তনটি ছিল সবচেয়ে বড় ও আকর্ষণীয় আয়োজনগুলোর একটি।

অনুষ্ঠান শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব সাংস্কৃতিক দলের পরিবেশনায় উৎসবের পর্দা নামে, তবে ক্যাম্পাস জুড়ে ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্ছ্বাস ও উদযাপন চলতে থাকে সন্ধ্যা অবধি।

 

বাংলাধারা/এসআর