ঢাকা, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২

চট্টগ্রামে বাড়ছে স্বাস্থ্যসেবার পরিধি: দুটি হাসপাতাল ও ডেন্টাল কলেজের পরিকল্পনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: মে ১৪, ২০২৫, ০১:৩৩ দুপুর  

ছবি: সংগৃহিত

চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও কর্ণফুলী এলাকায় দুটি আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। একইসঙ্গে নগরীর কালুরঘাট এলাকায় একটি ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল গড়ে তোলার চিন্তাভাবনাও রয়েছে বলে জানান তিনি।

আজ বুধবার চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত ‘চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন এবং অক্সিজেন-হাটহাজারী মহাসড়কের উন্নয়ন’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন আরও কয়েকজন মন্ত্রী ও উপদেষ্টা, যাদের মধ্যে ছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা সি. আর আবরার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম এবং প্রধান উপদেষ্টার স্পেশাল এনভয় লুৎফে সিদ্দিকী প্রমুখ।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অতিরিক্ত রোগীর চাপ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে নূরজাহান বেগম বলেন, “হাসপাতালের ধারণক্ষমতা ২২০০ হলেও বর্তমানে প্রায় ৫ হাজার রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এমনকি ব্রেইন সার্জারির রোগীকেও মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই রোগীদের টয়লেটের পাশের ফ্লোরে পর্যন্ত চিকিৎসা নিতে হচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।”

এই সংকট সমাধানে বিকেন্দ্রীকরণ এবং বিকল্প স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে তিনি জানান, “রাঙামাটি ও কাপ্তাইয়ের রোগীরা যাতে সহজে চিকিৎসা নিতে পারেন, সে জন্য হাটহাজারীতে একটি হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। একইভাবে কর্ণফুলীতে হাসপাতাল হলে পটিয়া, সাতকানিয়া ও চন্দনাইশ এলাকার মানুষ উপকৃত হবেন।”

তিনি আরও বলেন, “চট্টগ্রামে এখনো কোনো সরকারি ডেন্টাল কলেজ বা হাসপাতাল নেই। অথচ এই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে ডেন্টাল সেবার চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে। কালুরঘাট এলাকায় একটি পূর্ণাঙ্গ ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যাতে করে সাধারণ মানুষ সহজে ও কম খরচে ডেন্টাল সেবা পেতে পারেন।”

সভায় এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)–এর প্রতিনিধি চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন-সহ অনেকে অংশ নেন এবং নগর উন্নয়ন ও জনসেবা সংক্রান্ত নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টার এই ঘোষণা স্বাস্থ্যসেবায় চট্টগ্রামের মানুষকে নতুন আশার আলো দেখিয়েছে। বিশেষ করে যেসব এলাকায় এখনও উন্নত চিকিৎসার পর্যাপ্ত সুযোগ নেই, সেসব অঞ্চলবাসীর জন্য এ উদ্যোগ আশীর্বাদ হয়ে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


বাংলাধারা/এসআর