ঢাকা, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২

কোমায় আওনিয়ি

অস্ত্রোপচারের পর সংকটজনক অবস্থায় নটিংহ্যাম ফরেস্ট তারকা

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: মে ১৪, ২০২৫, ০৪:৩৯ দুপুর  

ছবি: সংগৃহিত

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের রোমাঞ্চকর ম্যাচে এক ভয়াবহ মুহূর্তে থমকে যায় নটিংহ্যাম ফরেস্টের স্ট্রাইকার তাইও আওনিয়ির জীবন। মাঠে গোলের জন্য প্রাণপণে ছুটে গিয়ে বিপর্যয়ের মুখোমুখি হন ২৭ বছর বয়সী নাইজেরিয়ান এই ফুটবলার। গুরুতর পেটের চোটে রবিবারের ম্যাচের পর থেকেই তিনি রয়েছেন কৃত্রিম কোমায়।

ঘটনাটি ঘটে নটিংহ্যামের ঘরের মাঠ সিটি গ্রাউন্ডে, লেস্টার সিটির বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র হওয়া ম্যাচের ৮৮তম মিনিটে। অ্যান্থনি এলাঙ্গার ক্রসে বল জড়াতে গিয়ে গোলপোস্টে সজোরে ধাক্কা খান আওনিয়ি। সঙ্গে সঙ্গে মাঠে লুটিয়ে পড়েন এবং শুরু হয় দীর্ঘ চিকিৎসা প্রক্রিয়া।

চোটের তাৎক্ষণিকতায় সোমবার রাতেই তার অস্ত্রোপচারের প্রথম ধাপ সম্পন্ন হয়। এরপর তাকে রাখা হয় কৃত্রিম কোমায়। বুধবার সম্পন্ন হবে অস্ত্রোপচারের দ্বিতীয় ধাপ। ক্লাব জানিয়েছে, প্রথম ধাপ সফলভাবেই শেষ হয়েছে এবং ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন আওনিয়ি।

মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতিতে নটিংহ্যাম ফরেস্ট জানায়,

"অস্ত্রোপচারের পর আওনিয়ি ভালোভাবে সাড়া দিচ্ছেন। এই ঘটনা আবারও স্মরণ করিয়ে দেয়, খেলাধুলায় শরীরী ঝুঁকি কতটা প্রবল হতে পারে। খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সর্বাগ্রে হওয়া উচিত।"

তবে চোটের সঙ্গে নিয়ম নিয়ে নতুন বিতর্কও জন্ম দিয়েছে এই ঘটনা। যেহেতু এলাঙ্গা সেই মুহূর্তে অফসাইডে ছিলেন, অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন- প্লে শেষ না হওয়া পর্যন্ত সহকারী রেফারিদের পতাকা না তোলার নিয়মটি আদৌ যৌক্তিক কি না। ফুটবলে ভিডিও রিভিউ সুবিধা নিশ্চিত করতে গিয়ে অনেক সময় খেলোয়াড়দের অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে- এমন মন্তব্য এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ও বিশেষজ্ঞ মহলে।

ম্যাচ শেষে ক্লাব মালিক এভানজেলোস মারিনাকিস মাঠে নামেন এবং কোচ নুনো এস্পিরিতো সান্তোর সঙ্গে কথা বলেন আওনিয়ির অবস্থা নিয়ে। ক্লাব সূত্রে জানা গেছে, প্রতিনিয়ত চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন তিনি।

নটিংহ্যাম ফরেস্টের হয়ে এ পর্যন্ত ৮৩ ম্যাচে ১৯ গোল করা এই তারকার দ্রুত আরোগ্য কামনায় সোচ্চার ক্লাব সতীর্থ থেকে শুরু করে ফুটবল বিশ্ব। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই আওনিয়ির জন্য প্রার্থনা জানিয়ে পোস্ট করছেন। কেউ লিখেছেন- ‘গোলের জন্য লড়াই করতে গিয়ে যেন জীবন না হারাতে হয়, ফুটবল তা হতে পারে না।’

চোট, চিকিৎসা আর মানবিক উদ্বেগে আচ্ছন্ন এই মুহূর্তে ফুটবলের রং যেন ম্লান। এখন একটাই চাওয়া- আওনিয়ি সুস্থ হয়ে উঠুন, আবার মাঠে ফিরুন। ফুটবল তার রাজপথে ফিরুক, কিন্তু খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা প্রশ্নে যেন নতুন করে ভাবনায় পড়ে কর্তৃপক্ষ।

 

বাংলাধারা/এসআর