ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২

‘মার্চ টু এনবিআর’ শুরু, সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২৫, ০১:০০ দুপুর  

ছবি: সংগৃহিত

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের অপসারণ এবং সব পক্ষের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে রাজস্ব খাতের সংস্কারের দাবিতে ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি শুরু করেছেন আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। শনিবার সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাজধানীর এনবিআর ভবনের সামনে সমবেত হতে শুরু করেন।

উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি সামাল দিতে এনবিআরের মূল ফটক বন্ধ করে সেখানে বিজিবি, পুলিশ, র‍্যাব এবং কোস্টগার্ডের সদস্যরা ভেতরে অবস্থান নিয়েছেন। এনবিআর ভবন ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগ, এনবিআর চেয়ারম্যান সংকট নিরসনে কোনো কার্যকর উদ্যোগ না নিয়ে বরং বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছেন। এ প্রেক্ষিতে আজ থেকেই সারা দেশের শুল্ক-কর অফিসগুলোতে লাগাতার শাটডাউন কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

এর আগে গতকাল শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এনবিআরে চলমান অচলাবস্থা নিরসনে বৃহস্পতিবার একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই বৈঠকে তিনটি সিদ্ধান্ত হয়—

এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে ঘোষিত আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহারের নির্দেশনা

কর্মকর্তাদের সাম্প্রতিক বদলির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা

আগামী মঙ্গলবার সরকারের সঙ্গে তিনপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানি-রপ্তানি এবং বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থের কথা বিবেচনায় নিয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ও ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি বাতিল করে কর্মকর্তা–কর্মচারীদের নিজ নিজ দপ্তরে ফিরে গিয়ে কাজে মনোনিবেশ করতে হবে। তবে আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচির ঘোষণা দেন এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের নেতারা।

উল্লেখ্য, গত ১২ মে সরকার এক অধ্যাদেশ জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বিলুপ্ত করে ‘রাজস্ব নীতি বিভাগ’ ও ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ নামে দুটি নতুন বিভাগ গঠন করে। এর প্রতিবাদে নানা কর্মসূচি চালিয়ে আসছেন রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, যা ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’-এর ব্যানারে পরিচালিত হচ্ছে।


বাংলাধারা/এসআর