আশুলিয়ায় ৬ লাশ পোড়ানোর মামলায় ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র জমা
প্রকাশিত: জুলাই ০২, ২০২৫, ০২:১৩ দুপুর

ফাইল ছবি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে আশুলিয়ায় সংঘটিত গণহত্যা ও ছয়জনের লাশ পোড়ানোর ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
বুধবার (৩ জুলাই) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ অভিযোগ আমলে নেওয়া সংক্রান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার সকালে প্রিজন ভ্যানে করে পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল্লাহ হিল কাফি ও শহিদুল ইসলামসহ সাতজন আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। প্রসিকিউশন সূত্র জানায়, গত ১৯ জুন আলোচিত এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পায় তারা। আনুষ্ঠানিক অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামসহ মোট ১৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন- সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সাভার সার্কেলের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম, ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ হিল কাফি, আশুলিয়া থানার সাবেক ওসি এ এফ এম সায়েদ (রনি), ঢাকা জেলা ডিবির উত্তরের সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন, আশুলিয়া থানার সাবেক উপপরিদর্শক আবদুল মালেক, আরাফাত উদ্দীন, শেখ আবজালুল হক, বিশ্বজিৎ সাহা, কামরুল হাসান এবং সাবেক কনস্টেবল মুকুল চোকদার। এদের মধ্যে ৮ জন কারাগারে রয়েছেন। মঙ্গলবার সাতজনকে আদালতে হাজির করা হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বিকেল ৩টার দিকে আশুলিয়া থানার সামনে পুলিশ গুলি চালায়, যাতে পাঁচজন নিহত ও একজন গুরুতর আহত হন। পরে নিহত পাঁচজনের মরদেহ এবং আহত ব্যক্তিকে একটি ভ্যানে তোলা হয়। সেখান থেকে পুলিশ তাদের আরেকটি গাড়িতে স্থানান্তর করে এবং পেট্রোল ঢেলে ছয়জনকেই আগুনে পুড়িয়ে দেয়।
ওই ঘটনায় নিহতরা হলেন- সাজ্জাদ হোসেন (সজল), আস সাবুর, তানজীল মাহমুদ সুজয়, বায়েজিদ বুসতামি এবং আবুল হোসেন। আরও একজনের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
প্রসিকিউশন জানায়, এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়।
বাংলাধারা/এসআর