ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২

নির্বাচনে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগে নতুন পরিকল্পনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০২৫, ১১:৪৬ দুপুর  

ছবি: সংগৃহিত

বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ নতুন নয়। বিশেষ করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রিসাইডিং অফিসারদের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন ও সমালোচনা উঠে এসেছে। এবারে এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) দায়িত্ব পালনে নিরপেক্ষতা ও দক্ষতা নিশ্চিত করতে রিটার্নিং ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের নিয়োগ পদ্ধতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি, ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকারে অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি হচ্ছে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে।

সিইসি জানান, এবার নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে শুধুমাত্র জেলা প্রশাসকদের রাখার বদলে কিছু ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদেরও নিয়োগ দেয়া হবে। তিনি বলেন, “মোটামুটিভাবে তাদের যোগ্যতা দেখে কিছু ক্ষেত্রে আমাদের অফিসারদের নিয়োগ করবো।” তবে তিনি স্পষ্ট করেন, যোগ্যতা ছাড়া কাউকেই এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে বসানো হবে না। এই উদ্যোগের ফলে প্রশাসনিক নিরপেক্ষতা ও দক্ষতা নিশ্চিত করার একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে।

প্রিসাইডিং অফিসার নিয়োগ নিয়েও আসছে পরিবর্তন। পূর্বে শিক্ষক সমাজের সদস্যদের এ দায়িত্ব দেয়া হতো, কিন্তু এবার ব্যাংক কর্মকর্তা ও অন্যান্য নতুন সরকারি চাকরিজীবীদের নিয়োগের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। সিইসি বলেন, “আমাদের চিন্তা আছে ব্যাংকের অফিসারদের দায়িত্ব দেয়া। কারণ এরা তো সরকারে ছিল না, রিগিংয়ের সহযোগী ছিল না।” এতে নির্বাচনে নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্ব অনেকটা বৃদ্ধি পাবে বলেই কমিশনের আশা।

সম্প্রতি বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের নির্বাচনগুলোতে ভোটকেন্দ্রের প্রধান দায়িত্ব পালন করেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা। তাদের সহযোগিতা করেন সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসাররা। সাম্প্রতিক জাতীয় নির্বাচনগুলোতে ৪০ হাজারের বেশি ভোটকেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করেছেন।

ঐতিহ্যগতভাবে, সরকারি ও এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের এই দায়িত্ব দেওয়া হতো। তবে, বিগত নির্বাচনগুলোতে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব ও ভোট কারচুপির অভিযোগ উঠেছে।

বাংলাধারা/এসআর