ফরিদা পারভীনের অবস্থার কিছুটা উন্নতি, আইসিইউ থেকে কেবিনে নেওয়ার প্রস্তুতি
প্রকাশিত: জুলাই ০৯, ২০২৫, ১১:৫৪ দুপুর

ফাইল ছবি
‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি, কেমনে আসে যায়’- লালনের এই কালজয়ী গানের সুর শুনলে যাঁর মুখ মনে ভেসে ওঠে, তিনি কিংবদন্তি লালনসংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন। অসুস্থ হয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
তবে স্বস্তির খবর, ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তাঁর ছেলে ইমাম জাফর নোমানী মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের জানান, “মায়ের অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা ভালো। তবে এখনও শরীর বেশ দুর্বল। কথা বলতে গিয়ে জড়িয়ে যাচ্ছে। চিকিৎসকেরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। সবাই মায়ের জন্য দোয়া করবেন।”
হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. শিমুল চন্দ্র নাথ বলেন, “ফরিদা পারভীন ডায়ালাইসিসের রোগী। পাশাপাশি ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশন আছে। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। যদিও তিনি এখনও পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত নন, তবে আজ সকালে নিজে নিজে চোখ খুলেছেন, হাত-পা নাড়াচ্ছেন। আরেকটু উন্নতি হলে তাঁকে কেবিনে স্থানান্তর করা হবে।”
দেশাত্মবোধক গানের মধ্য দিয়ে সংগীতজগতে পথচলা শুরু হলেও লালনসংগীতে অনন্য অবদান রেখেছেন ফরিদা পারভীন। সংগীতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ১৯৮৭ সালে একুশে পদক এবং জাপান সরকারের কুফুওয়া এশিয়ান কালচারাল পদকে ভূষিত হন।
চিকিৎসা নিয়ে বিতর্ক
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফরিদা পারভীনের চিকিৎসা নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা হচ্ছে। অনেকে বলছেন, আর্থিক সংকটের কারণে তাঁর চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে। তবে এসব তথ্যকে ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন ফরিদা পারভীনের ছেলে নোমানী।
তিনি জানান, সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতার প্রস্তাব দেওয়া হলেও তাঁর মা সেই প্রস্তাব নিতে রাজি নন। সামাজিক মাধ্যমে নোমানী লিখেছেন, “আমরা আমাদের মায়ের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে সক্ষম। যদি না-ও পারি, মায়ের নিজের যে অর্থ রয়েছে, তা দিয়েই চিকিৎসার খরচ চালানো সম্ভব।”
নোমানী আরও বলেন, পরিবারের সদস্যরাই মায়ের সেবা-শুশ্রূষায় সার্বক্ষণিক ব্যস্ত রয়েছেন।
সবার প্রার্থনা, দ্রুত সুস্থ হয়ে আবারও গান নিয়ে ফিরবেন বাংলার লালনকন্যা ফরিদা পারভীন।
বাংলাধারা/এসআর