'এই সম্মান মৃত্যু পর্যন্ত মনে থাকবে': আনোয়ারা
প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২৫, ০৪:৪২ দুপুর

ছবি: সংগৃহিত
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রাঙ্গনের কিংবদন্তি অভিনেত্রী আনোয়ারা বেগম 'মিট দ্য প্রেস' অনুষ্ঠানে সম্মাননা পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
গত সোমবার (১৪ জুলাই) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস) আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে দীর্ঘ অভিনয় জীবনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
মগবাজারস্থ বাচসাস কার্যালয়ে আয়োজিত 'মিট দ্য প্রেস'-এর প্রথম পর্বে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম দোয়েল সহায়তা করে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই গুণী এই শিল্পীর হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন বাচসাস সভাপতি কামরুল হাসান দর্পণ। তখনই আনোয়ারার কণ্ঠ রুদ্ধ হয়ে আসে এবং চোখ ভিজে ওঠে আবেগের জলে।
আনোয়ারা বলেন, "বাচসাস আমার অনেক আপন। বহুদিনের সম্পর্ক। আমি বাচসাসকে ভালোবাসি, শ্রদ্ধা করি। আজকের এই চোখের জল গ্লিসারিনের নয়, এটি সম্মান ও ভালোবাসার প্রতিফলন। এই যে সম্মান পেয়েছি, তা আমি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মনে রাখব।"
বাচসাস সভাপতি কামরুল হাসান দর্পণ বলেন, "বাচসাস এবারই প্রথমবারের মতো 'মিট দ্য প্রেস'-এর আয়োজন করল। আর এই যাত্রার শুরুটা আনোয়ারার মতো এক জীবন্ত কিংবদন্তিকে দিয়ে করতে পারা আমাদের জন্য গর্বের। নিয়মিতই চলচ্চিত্র, টিভি ও সংগীতের তারকাদের নিয়ে এই আয়োজন করা হবে।"
অনুষ্ঠানে বাচসাস সম্পাদক রাহাত সাইফুল বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, "আনোয়ারা মা শুধু একজন অভিনেত্রী নন, তিনি আমাদের চলচ্চিত্র ইতিহাসের এক জীবন্ত অধ্যায়। তার চোখের জল ছিল আমাদের প্রতি ভালোবাসা ও সম্মানের বহিঃপ্রকাশ। এই আবেগই আমাদের ভবিষ্যৎ পথচলার অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।"
অনুষ্ঠানে আনোয়ারার কন্যা, জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা রুমানা ইসলাম মুক্তি উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বাচসাস সহ-সভাপতি লিটন রহমান, সালাম মাহমুদ, অর্থ সম্পাদক রুহুল সাখাওয়াত, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা মতিহার, দপ্তর সম্পাদক রুহুল আমিন ভূঁইয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য হাফিজ রহমান, পান্থ আফজাল, নিয়াজ মোর্শেদ শুভ এবং দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে আনোয়ারা বেগম সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। তিনি তার মঞ্চ, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনের দীর্ঘ অভিনয়-অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন এবং ব্যক্তিজীবনের নানা আলো-অন্ধকারের গল্প শোনান।
উল্লেখ্য, ৬০০-এরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করা এই গুণী শিল্পী চারবার বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেছেন। 'মা' (১৯৭৭), 'গোলাপী এখন ট্রেনে' (১৯৭৮), 'কসাই' (১৯৮০) এবং 'লাল কাজল' (১৯৮২)—এই ছবিগুলোর জন্য তিনি সম্মানিত হন।
বাংলাধারা/এসআর