বরিশালে ১৫৯ মি.মি. বৃষ্টি, নদীর পানি ঢুকে পড়ছে শহরে
প্রকাশিত: জুলাই ০৯, ২০২৫, ০২:৩০ দুপুর

ছবি: সংগৃহিত
মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তার প্রভাবে বরিশালে টানা বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শহরে ১৫৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী দুই-তিন দিন এ বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।
বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে বরিশাল আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আনিসুর রহমান বলেন, “মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বেড়েছে। সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর এবং নদীবন্দরকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।”
তিনি জানান, এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিল। তবে বর্তমান বর্ষণ মৌসুমি বৃষ্টিপাতেরই অংশ।
টানা বৃষ্টির কারণে নগরীর বিভিন্ন এলাকা, ফসলি জমি এবং সড়কে তীব্র জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। পাঁচ দিনের বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েছেন বরিশালবাসী। বিশেষ করে কর্মজীবী এবং নিম্ন আয়ের মানুষেরা বিপাকে পড়েছেন। অনেকেই ঘরবন্দি থাকতে বাধ্য হচ্ছেন।
নগরীর কলেজ রোড এলাকার বাসিন্দা আল-আমিন বলেন, “বৃষ্টিতে পুরো শহর পানিবন্দি। প্রতিটি গলিতেই পানি জমেছে। সিটি কর্পোরেশন বড় ড্রেনগুলো পরিষ্কার করলেও অলি-গলির ছোট ড্রেনগুলো অব্যবস্থাপনায় পড়ে থাকে। তাই বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা হয়।”
পলাশপুর এলাকার বাসিন্দা বাবুল হাওলাদার বলেন, “বৃষ্টি আরও সপ্তাহখানেক থাকতে পারে। কিন্তু ভোগান্তি চলবে অন্তত দুই মাস। আমাদের এলাকায় ড্রেন-নালা না থাকায় পানি নামতে পারে না। তাই পানিবন্দি অবস্থায় থাকতে হয়।”
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, “নগরীর ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল রাখতে প্রতিদিন পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হচ্ছে। বর্তমানে নদীর পানির উচ্চতা শহরের চেয়ে বেশি হওয়ায় ড্রেনের পানি নদীতে নামতে পারছে না। উল্টো নদীর পানি ড্রেন হয়ে শহরে ঢুকছে।”
তিনি আরও জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনে পাঁচটি টিমে ১০০ কর্মী নিয়মিত কাজ করছে। ইতোমধ্যে ভাটারখাল, জেলখাল, লাকুটিয়া খাল এবং কুদঘাটা খাল পরিষ্কার করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ে নাগরিকদের ভোগান্তি কমানোর চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
বাংলাধারা/এসআর