মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: আহত-নিহতদের তালিকা তৈরিতে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন
প্রকাশিত: জুলাই ২৩, ২০২৫, ১০:৩০ দুপুর

ছবি: সংগৃহিত
উত্তরার দিয়াবাড়িতে অবস্থিত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাসে বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় হতাহতদের প্রকৃত সংখ্যা নিরূপণ এবং নাম-ঠিকানাসহ নির্ভুল তালিকা তৈরিতে ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) এই কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জিয়াউল আলমকে কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তীব্র দুর্ঘটনার কারণে তাৎক্ষণিকভাবে সঠিক তথ্য নিশ্চিত করা সম্ভব না হলেও, বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে অবস্থানরত বহু শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকের আহত কিংবা নিহত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এই বাস্তবতায়, হতাহতদের সুনির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই করার জন্যই এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন উপাধ্যক্ষ (প্রশাসন) মো. মাসুদ আলম, প্রধান শিক্ষিকা খাদিজা আক্তার, কো-অর্ডিনেটর লুৎফুন্নেসা লোপা, অভিভাবক প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান মোল্লা (যার কন্যা যাইমা জাহান চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী), এবং দ্বাদশ শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী—মারুফ বিন জিয়াউর রহমান ও মো. ভাসনিম ভূঁইয়া প্রতিক।
কমিটিকে সরাসরি ঘটনাস্থল পরিদর্শন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ এবং প্রাপ্ত তথ্য যাচাই করে একটি নির্ভরযোগ্য তালিকা প্রস্তুতের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ প্রতিবেদন শুধু অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনার জন্য নয়, বরং প্রয়োজনে সরকার, উদ্ধারকারী সংস্থা এবং অন্যান্য সহায়তাকারী কর্তৃপক্ষের কাছেও হস্তান্তর করা হবে।
এরই মধ্যে অধ্যক্ষের স্বাক্ষরে কমিটি গঠনের প্রজ্ঞাপন ই-মেইলের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সদস্যদের কাছে পাঠানো হয়েছে এবং তারা কাজ শুরু করেছেন বলেও জানা গেছে।
এছাড়া, এই তদন্ত কমিটির বাইরে দুর্ঘটনার সার্বিক পরিস্থিতি, উদ্ধার কার্যক্রম, চিকিৎসা সহায়তা, অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি ও নিরাপত্তা ঘাটতির বিষয়গুলো নিয়েও আলাদাভাবে কাজ করছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাথমিক শাখার ভবনে বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনায় বহু শিক্ষার্থী আহত হয় এবং প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে। দেশের ইতিহাসে অন্যতম মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনার পরদিন সরকারিভাবে জাতীয় শোক পালিত হয়।
বাংলাধারা/এসআর