হতাশায় শেষ বাংলাদেশের ওয়ানডে মিশন
প্রকাশিত: জুলাই ০৯, ২০২৫, ১২:০২ দুপুর

ছবি: সংগৃহিত
কলম্বোতে উড়তে থাকা প্রত্যাশার বেলুন ক্যান্ডিতে এসে হাওয়ায় মিলিয়ে গেল। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের নির্ধারণী ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে ৯৯ রানে হেরে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ। পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বাজে ব্যাটিং ও বোলিং-দুর্বলতায় ডুবে গেল মেহেদী হাসান মিরাজদের স্বপ্ন। ফলে সিরিজ জয়ের অপেক্ষা গড়াল অন্তত অক্টোবর পর্যন্ত, যখন তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং কোচ থিলানা কানদাম্বি পাল্লেকেলের উইকেটকে ব্যাটিং স্বর্গ আখ্যা দিয়েছিলেন। সেটিই প্রমাণ করলেন লঙ্কান ব্যাটাররা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে কুশল মেন্ডিসের ঝকঝকে সেঞ্চুরিতে ৭ উইকেটে ২৮৫ রান তোলে স্বাগতিকরা। ৯৫ বলে ১০০ রান করা মেন্ডিস ১৬টি চারের মার হাঁকান। ২০১৭ সালের পর এটি তাঁর ষষ্ঠ ওয়ানডে শতক, আর বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয়।
বোলিংয়ে মুস্তাফিজুর রহমান ছিলেন উইকেটশূন্য। তানভীর ইসলাম একমাত্র স্পিনার হিসেবে ১০ ওভারে ৬১ রানে নেন ১ উইকেট। তাসকিন আহমেদ কিছুটা লড়াই করেছেন, ফিরিয়েছেন চারিথ আসালঙ্কা ও দুনিথ ওয়ালালেগেকে। কিন্তু পেস বা স্পিন কোনো বিভাগেই ধার ছিল না বাংলাদেশের। তিন পেসারের ২৬ ওভারে লঙ্কান ব্যাটাররা ২০টি চার ও দুটি ছয় মারেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যাটারদের মাঝে ধৈর্য দেখা যায়নি। পারভেজ হোসেন ইমন, মেহেদী হাসান মিরাজরা খেলেছেন টি-টোয়েন্টি ঢংয়ের শট। বিশেষ করে কুশল মেন্ডিসের ইনিংস থেকে শিক্ষা না নিয়ে উড়িয়ে খেলে একের পর এক উইকেট হারিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত ৩৯তম ওভারে ১৮৬ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
এই ম্যাচে ছয়জন ব্যাটার বোল্ড হয়ে আউট হন। তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলী, তাসকিন আহমেদরা যেন ছিলেন দিশেহারা। তাওহীদ হৃদয় ৭৮ বলে ৫১, জাকের ৩৫ বলে ২৭ এবং ইমন ৪৪ বলে ২৮ রান করেন। স্বাগতিকদের দুই পেসার আসিথা ফার্নান্দো ও দুশমন্ত চামিরা তিনটি করে উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস গুটিয়ে দিতে বড় ভূমিকা রাখেন।
পাল্লেকেলেতে এই হারের মধ্য দিয়ে শ্রীলঙ্কার মাটিতে আবারও এক হতাশাজনক অধ্যায় লিখল বাংলাদেশ। মিরাজদের ওয়ানডে অভিযানের ইতি ঘটল প্রশ্নবিদ্ধ ব্যাটিং আর অনিয়মিত বোলিংয়ে।
বাংলাধারা/এসআর